তিন বছর পর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) শাখা ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় কমিটি। এরপর পরই ঘোষিত কমিটিতে পদবাণিজ্য ও অছাত্রদের রাখার অভিযোগে এনে ফটকে তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভ-অবরোধ করছেন পদবঞ্চিত নেতাকর্মীরা। রোববার মধ্যরাতে কমিটি ঘোষণার পর শুরু হওয়া অবরোধ সোমবার সকালে প্রতিবেদন লেখা পর্যন্তও চলছে।
শিক্ষার্থীরা জানান, রাত ২টার দিকে ক্যাম্পাসের ফটকে তালা দিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন পদবঞ্চিতরা।
সকালে এ রির্পোট লেখা পর্যন্ত ফটকে তালা দিয়ে অবরোধ চালিয়ে যাচ্ছিল তারা। ফলে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শিক্ষক বাসও বের হতে পারেনি। এছাড়া শাটল ট্রেনের লোকমাস্টার ও ট্রেন পরিচালককে অপহরণ করে নিয়ে গেছে বিক্ষোভকারীরা। এতে বিশ্ববিদ্যালয়গামী শাটল ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল হক রুবেল ও সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন টিপুর সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাদের সাড়া পাওয়া যায়নি।
কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্যের সই করা প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে ৩৭৬ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়।
৩৭৬ সদস্যের কমিটিতে সহ-সভাপতি পদে ৬৯ জন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে ১১ জন ও সাংগঠনিক সম্পাদক পদে ১১ জনের নাম ঘোষণা করা হয়েছে।
পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে সভাপতি রেজাউল হক রুবেলের সঙ্গে সিনিয়র সহ-সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন সিএফসি গ্রুপের নেতা মো. আল-আমিন রিমন।
এ ছাড়া সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন টিপুর সঙ্গে সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন রাজু মুন্সী। তিনি সিক্সটি নাইন গ্রুপের অনুসারী হিসেবে পরিচিত।
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ১৫ জুলাই রেজাউল হক রুবেলকে সভাপতি ও ইকবাল হোসেনকে সাধারণ সম্পাদক করে দুই সদস্যের ছাত্রলীগের কমিটি ঘোষণা করা হয়। দুই সদস্যের কমিটি দেওয়ার ৩ বছর ১৬ দিন পর অবশেষে পূর্ণাঙ্গ কমিটি পেয়েছে চবি ছাত্রলীগ।